ওয়েব ডেস্ক: ভারতের শক্তিশালী এলভিএম৩-এম৬ ‘বাহুবলী’ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল মার্কিন সংস্থা এএসটি স্পেসমোবাইল-এর তৈরি অত্যাধুনিক কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ‘ব্লু বার্ড ৬’। বুধবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় উপগ্রহটি।
প্রায় ৬,১০০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতের ভারী বহনক্ষম রকেট এলভিএম৩-এম৬। নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৮টা ৫৪ মিনিট। তবে মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো বর্জ্য কিংবা অন্য স্যাটেলাইটের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণের সময় ৯০ সেকেন্ড পিছিয়ে দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎক্ষেপণের প্রায় ১৫ মিনিট পর রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হবে ব্লু বার্ড ৬। তার পর প্রায় ৫২০ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্ধারিত কক্ষপথে স্থাপন করা হবে উপগ্রহটিকে। ব্লু বার্ড ৬ এমন একটি প্রযুক্তিসম্পন্ন স্যাটেলাইট, যা মহাকাশ থেকেই পৃথিবীর যে কোনও সাধারণ স্মার্টফোনে সরাসরি ব্রডব্যান্ড সিগন্যাল পাঠাতে সক্ষম।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ব্লু বার্ড ৬-ই এখনও পর্যন্ত ভারতের কোনও রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে ভারী কৃত্রিম উপগ্রহ। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, ভারতের মাটি থেকে এর আগে এত ভারী উপগ্রহ কখনও উৎক্ষেপণ করা হয়নি। সেই কারণেই ৪৩.৫ মিটার উঁচু এবং ভারী উপগ্রহ বহনে সক্ষম এলভিএম৩-এম৬ রকেটকে এই অভিযানের জন্য বেছে নেওয়া হয়। ইসরোর বিজ্ঞানীদের দেওয়া নামেই এই রকেট পরিচিত—‘বাহুবলী’। এলভিএম৩ সিরিজের এটি ষষ্ঠ সংস্করণ।
এই ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণের পর সমাজমাধ্যমে ইসরো-কে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, “ভারতের মহাকাশযাত্রায় এটি একটি গর্বের মাইলফলক। এই উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলন। আমাদের পরিশ্রমী মহাকাশবিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের আন্তরিক অভিনন্দন।”




