লাইফস্টাইল ডেস্ক: ছুটির দিনে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর অনেকেই ঘুমোতে পছন্দ করেন। ঘুম থেকে উঠলে মন কেমন তেলেভাজা তেলেভাজা করে। কিছু না ভেবেই দোকান থেকে তেলেভাজা নিয়ে এসে খেয়ে নেয় অনেকেই। খাওয়ার পরে একটু চা হলেও ভালো হয়। আর তারপরেই শুরু হয় বুকে ভেতরে জ্বালা সঙ্গে মুখের ভিতরে টক টক ভাব। মাথায় দপদপ করে যন্ত্রণা ও বুকে ব্যথাও হতে পারে। এমনকি কাশিও হতে পারে। এই লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার অম্বল অর্থাৎ অ্যাসিডিটি (Acidity) হয়েছে। অনেক ওষুধ তো আছেই, তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা (Home remedies for acidity) অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
কী কী সেই ঘরোয়া টোটকা?
১) এক গ্লাস জলে ১ বা ২ চা চামচ তুলসীর বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এগুলি ফুলে উঠলে পান করুন। তবে মনে রাখুন এই বীজগুলি ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। পিরিয়ডস বা সর্দি ও কাশি থাকলে এটি পান করবেন না।
২) অম্বল দূর করতে ডাবের জল খুব উপকারী ওষুধ। দিনে একবার ডাবের জল পান করুন।
৩) বাটারমিল্ক বা দইয়ের ঘোলে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। পেটের অ্যাসিডিটিকে শান্ত করতে সক্ষম বাটারমিল্ক বা দইয়ের ঘোল। খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস বাটার মিল্ক পান করতে পারেন।
৪) খাবার খাওয়ার পর মৌরী খেলে অম্বলের প্রবণতা কমাতে পারে। মৌরী দেওয়া চা-ও পান করা যেতে পারে। এর ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং বদহজমের সম্ভাবনা কমে।
৫) ছোট এলাচ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে পেটের যে খারাপ অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তা দূর করতেও সাহায্য করে।
৬) গুড়ে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম অন্ত্র মজবুত করে এবং হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। তাই খাবার খাওয়ার পর গুড় খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৭) সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ক্যান্টালোপ, হানিডিউ এবং তরমুজ অ্যাসিড রিফ্লাক্স সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়ামও থাকে, যা পেটে অ্যাসিড ক্ষরণ কম করে ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে। তবে খুব বেশি অম্বল হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।