স্পোর্টস ডেস্ক: বুধবার ভোর ৩টে ২৭ মিনিট নাগাদ (ভারতীয় সময়) সুনীতাদের নিয়ে মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লরিডার সমুদ্রে অবতরণ করে। তার কিছু ক্ষণ পর ওই যানের মধ্যে থাকা ক্যাপসুল থেকে একে একে হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা এবং বুচ। ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফেরায় তাঁদের নিয়ে খুশি গোটা বিশ্ব। খুশি ট্রাম্পও। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন ক্ষমতায় (দ্বিতীয় বার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর) আসি, তখনই আমি ইলনকে বলেছিলাম তাঁদের (সুনীতা এবং বুচ) ফিরিয়ে আনতে হবে। কথা দিয়েছিলাম, রেখেছি।’
এদিন সুনীতা উইলিয়ামসদের (Sunita Williams Return) নিয়ে নিখুঁত অবতরণ করে ড্রাগন ক্যাপসুল। দড়ি দিয়ে ক্যাপসুল বেঁধে জাহাজে ড্রাগন ক্যাপসুল তুলে খোলা হয় হ্যাচ। বিশেষ চেয়ারে বার করা হয় ৪ নভশ্চরকে। ৯ মাস পর পৃথিবীর আলো দেখলেন সুনীতারা।
ফ্লোরিডা উপকূলে সমুদ্রের জলে অবতরণ করে সুনীতাদের ড্রাগন ক্যাপসুল। পরিকল্পনা মেনে একেবারে নিখুঁত অবতরণ হয় ক্যাপসুলের। ভারতীয় সময় ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে অবতরণ করে। ধাপে ধাপে ঘণ্টায় সাড়ে সাতাশ হাজার মাইল থেকে গতিবেগ কমানো হয় ক্যাপসুলের। মাটি থেকে ১৮ হাজার ফুট উপরে থাকার সময় খুলে যায় জোড়া প্যারাস্যুট। মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় খোলে আরও দুটি প্যারাস্যুট। প্রথমে ভাসমান মডিউলের মহাকাশযানের অবস্থা খুঁটিয়ে দেখে নৌবাহিনীর স্পিডবোট। তারপর অবতরণের জায়গায় পৌঁছয় মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ। ক্যাপসুলের গায়ে দড়ি বেঁধে হাইড্রলিক আর্মের সাহায্যে জাহাজে তোলা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর জাহাজেই হ্যাচ খোলা হয় ড্রাগন ক্যাপসুলের। হ্যাচ খোলার পর ভিতরে গিয়ে আরেক দফা পরীক্ষা করা হয় সুনীতাদের। বিশেষ চেয়ারে তুলে ক্যাপসুল থেকে প্রথম বার করা হয় নিক হেগকে। তারপর ক্যাপসুল থেকে বার করা হয় আলেকজান্ডার গর্বুনোভকে। ক্যাপসুল থেকে এরপর বার করা হয় সুনীতা উইলিয়ামসকে। সবার শেষে ক্যাপসুল থেকে বার করা হয় সুুনীতার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে।
তারপর ওই জাহাজে করে স্থলভাগে নিয়ে আসা হয় সুনীতাদের। বিমানে করে এরপর সুনীতাদের নিয়ে আসা হয় হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। স্পেস সেন্টারে ক্রু কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে সুনীতাদের। ক্রু কোয়ার্টারে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে এই পরীক্ষা। তারপর পরিবারের সঙ্গে সুনীতাদের দেখা করার অনুমতি মিলবে।