ওয়েব ডেস্ক: বুধবার ভোর রাতে নিজের বান্দ্রার বাসভবনেই দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার সইফ আলি খান (Saif Ali Khan)। ঘটনার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। জানা গিয়েছে, সইফ-করিনার দুই সন্তান জেহ-তৈমুরের (Jeh-Taimur) ঘরেই নাকি হামলার ঘটনা ঘটে। যথাসময়ে সইফ সেখানে উপস্থিত না হলে দুই সন্তানের পাশাপাশি বাড়ির পরিচারিকার বড়সড় বিপদ হতে পারত। তবে নিজের জীবন বাজি রেখে দুষ্কৃতীর উপর ঝাপিয়ে পড়েন নবাব। তখনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। এখন বিপন্মুক্ত তিনি।
জানা গিয়েছে, ছ’বার ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেই সময়ে সইফের শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল ছুরি। চিকিৎসকেরা জানান, হাতল থেকে ছুরিটি ভেঙে যায়। তার ফলে আড়াই ইঞ্চির ধারালো ছুরি আটকে ছিল অভিনেতার শিরদাঁড়ায়। বেরিয়ে আসছিল সেরিব্রোস্পাইনাল তরল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করা হয় ছুরির সেই ভাঙা অংশ। এ বার সেই ছুরির ছবি প্রকাশ্যে।
লীলাবতী হাসপাতালের তরফ থেকে অ্যানাথেসলজিস্ট নিশা গান্ধী জানান, শিরদাঁড়ার আঘাত খুবই গভীর ছিল। অল্পের জন্য বেঁচেছেন সইফ। ‘সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম’ (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) থেকে ২ মিলিমিটার দূরে ছুরিকাঘাত করেছিল দুষ্কৃতী। সেই আঘাত নিয়েই হাসপাতালে আসেন তিনি। অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার আগে সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন সইফ। বাচ্চাদের কথা বার বার জিজ্ঞাসা করছিলেন তিনি।