কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতেই রাজনৈতিক শিবির বদলালেন পার্নো মিত্র (Parno Mitra)। ছ’বছর পদ্মফুলে থাকার পরে ২০২৫-এর শেষ লগ্নে ঘাসফুলে নাম লেখালেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে শাসকদলে যোগ দেন তিনি।
সকাল থেকেই পার্নোর দলবদলের জল্পনা চলছিল। শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক রাজনীতিবিদ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক থেকেও খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। যোগদানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্নো বলেন, “মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেই ভুল সংশোধনের সময় এসে গিয়েছে। ছ’বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, সেটা আপনারা জানেন। এ বার নিজেকে শুধরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
পার্নোর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডই তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। দলে গ্রহণ করার জন্য তিনি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও রাজনীতিবিদ জয়প্রকাশ মজুমদারকে ধন্যবাদ জানান। এ দিন চন্দ্রিমাই পার্নোর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। চন্দ্রিমা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পার্নো আমাদের দলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দলকে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে দলে সংযুক্ত করার।”
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে অভিনেত্রীর শাসকদলে যোগদান ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে টলিপাড়াতেও। ইন্ডাস্ট্রির একাংশ পার্নোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্নো মিত্রের অভিনয়জীবন শুরু ২০০৭ সালে। ছোটপর্দায় রবি ওঝার ‘খেলা’ ধারাবাহিক দিয়ে তাঁর পথচলা। বড়পর্দায় অঞ্জন দত্তের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবিতে। ‘বেডরুম’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘রাজকাহিনী’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’, ‘অপুর পাঁচালি’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’-সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
রাজনীতিতে পার্নো যোগ দেন ২০১৯ সালে বিজেপিতে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। সে বার বিজেপির হয়ে পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো তারকারাও প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে বরাহনগরে শাসকদলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হন পার্নো।




