স্পোর্টস ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) পারেননি, ঝুলন গোস্বামীও (Jhulan Goswami) পারেননি। কিন্তু পারলেন শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। তাঁর হাত ধরেই প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখল বাঙালি। রবিবার নবি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল, আর সেই জয়ের অন্যতম কারিগর রিচা। ফাইনালে তাঁর ৩৪ রানের ইনিংস ছিল দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাচের পর উত্তেজিত অথচ শান্ত গলায় রিচা বলেন, “জীবন বাজি রেখে খেলতে নেমেছিলাম। আজ বিশ্বকাপ হাতে নিতে পারলাম— স্বপ্ন সত্যি হল।” তিনি জানান, ফাইনালের আগে দলের সবাই একটাই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন— নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। রিচার ভাষায়, “আমরা একে অপরকে বলেছিলাম, এটা প্রতিযোগিতার শেষ দিন। শরীরের, শক্তির শেষ বিন্দুটা পর্যন্ত দিতে হবে। একে অপরের জন্য খেলব আমরা। সেটাই ছিল আমাদের আসল মন্ত্র।”
এমন বড় মঞ্চে চাপ কি ছিল না? হাসিমুখে রিচার জবাব, “চাপ অবশ্যই ছিল। মাঠে হাজার হাজার দর্শক। এমন পরিবেশে আমরা খুব একটা খেলিনি। কিন্তু নিজেকে বলেছিলাম— এত পরিশ্রম করেছি, এবার নিজের উপর বিশ্বাস রাখার সময়। দলের সবাই বিশ্বাস করেছিল আমি ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারব। সেই আস্থাই শক্তি দিয়েছে।”
রিচার সংযোজন, “বিশ্বকাপ জয় আমাদের কাছে শুধুই ট্রফি নয়, এটা এক স্বপ্নপূরণ। বহু দিন অপেক্ষা করেছি। অবশেষে সেই মুহূর্ত এলো। আমরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব— এটা জীবনের সব কিছুর চেয়ে আলাদা।”
একজন বাঙালি ক্রিকেটারের হাতে উঠল বিশ্বকাপ— এমন দৃশ্য এ দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা আগে কখনও দেখেননি। রিচা ঘোষ শুধু ইতিহাসই গড়লেন না, তিনি হয়ে উঠলেন এক প্রজন্মের প্রেরণা— শিলিগুড়ির মেয়ের ব্যাটে লেখা থাকল ভারতের গর্বের নতুন অধ্যায়।



