কলকাতা: একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’-র (Mass Resignation) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ‘গণইস্তফা’ সরকারের কাছে কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘গণইস্তফা’-র কথা উল্লেখ রয়েছে। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। না হলে সেটি পদত্যাগপত্র নয়। এই ‘গণইস্তফা’ কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। এই বিষয়ে সরকার বিভ্রান্তি দূর করতে চায়। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এগুলি জমা পড়েছে।”
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচির শনিবার অষ্টম দিনে পড়ল। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে অনশন। নির্যাতিতার বিচার, হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ জানিয়েছেন অনশন প্রত্যাহার করার জন্য। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনের তরফেও শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তারের দাবির তালিকায় থাকা বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। দেড় পাতার ওই বিবৃতি জানাচ্ছে, চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘আমরা মোট ৭০৫১ট সিসিটিভি, ৮৯৩টি নতুন ডিউটি রুম এবং ৭৭৮টি ওয়াশরুম তৈরি করছি। পাশাপাশি, যথাযথ আলোর ব্যবস্থা, অ্যালার্ম সিস্টেম এবং বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে বসানো হচ্ছে।’’