ওয়েব ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বকে কেন্দ্র করে নথি জালিয়াতি রুখতে কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। ভুয়ো ভোটারদের ঠেকাতে এ বার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—সরকারি নথি বা পরিচয়পত্র জাল করলেই হবে কঠোর শাস্তি।
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর এক লিখিত বিবৃতিতে জানায়, এসআইআর চলাকালীন কেউ নথি জাল করতে ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি দিতে হতে পারে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ৩৩৭ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে—ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জন্ম, বিবাহ বা মৃত্যুর শংসাপত্র, আদালতের নথি, সরকারি অফিসের নথি, সরকারি কর্মচারীর প্রদান করা শংসাপত্র কিংবা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নির মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জাল করলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। এসআইআর-এ সেই একই নিয়মই প্রযোজ্য হবে।
পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের কাজ নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ভোটার তালিকার ঝাড়াই-বাছাই চললেও অনুপ্রবেশকারী বা ভুয়ো ভোটারেরা রয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। অনেকের দাবি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে এ রাজ্যে বসবাস করছেন। কখনও আবার ভুয়ো নথি দিয়ে অন্য কাউকে বাবা-মা সাজিয়ে ভোটার কার্ড বানাচ্ছেন কেউ কেউ। এমনিতেই ভুয়ো ভোটার ধরতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার শুরু করেছে কমিশন। এআই-এর সাহায্যে প্রত্যেক ভোটারের নাম, ছবি-সহ যাবতীয় তথ্য নিখুঁত ভাবে স্ক্যান করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে কারও তথ্যে গরমিল থাকলে তা সহজেই ধরা সম্ভব হবে। অনুপ্রবেশকারীদেরও চিহ্নিত করা যাবে বলে দাবি।
অন্যদিকে, আর মাত্র দু’দিন পরেই কমিশনের ওয়েবসাইটে এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকা নিয়ে অভিযোগ ও দাবি জানাতে সময় থাকবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইআরও-রা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন, প্রয়োজনে শুনানির জন্য ভোটারকে ডাকবেন এবং আলোচনার ভিত্তিতে সংশয় নিরসনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।




