স্পোর্টস ডেস্ক: অ্যাশেজে ( Ashes Series) টানা দুই টেস্টে ভরাডুবির পর চাপের মুখে থাকা ইংল্যান্ড শিবিরে নতুন করে বিতর্কের জোয়ার। খেলার মান নিয়ে দেশজুড়ে যখন সমালোচনা, তখনই ছুটি কাটাতে সমুদ্রসৈকতে গিয়ে সমালোচনার নিশানায় পড়লেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ক্ষোভ আরও উসকে দিয়েছে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত।
‘ডেইলি মেল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টের আগে ব্রিসবেনের উত্তরে নুসা সৈকতে গিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। সেখানে একটি হোটেলে দল থাকছে। কোচ ম্যাকালামের সঙ্গে কয়েকজনকে গাড়িতে ঘুরতে দেখা গেছে। অনেকে আবার সৈকতে হাঁটাহাঁটি করেছেন। একা সমুদ্রতটে ঘুরছেন স্টোকস—এমন দৃশ্যও ধরা পড়েছে। এমনকি হোটেলে সতীর্থদের সঙ্গে খাবার না খেয়ে, বাইরে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে দেখা গেছে তাঁকে।
সিরিজে ০-২ পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও দলের শরীরী ভাষায় উদ্বেগ বা চাপের ছাপ নেই—এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের। বরং পুরো দলকে দেখা যাচ্ছে ছুটির মেজাজে।
পার্থে প্রথম টেস্টে দু’দিনে হার, ব্রিসবেনে লড়াই করে চার দিনে হার—এই পরিস্থিতিতে নুসা সৈকতে ছুটি কাটাতে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জিওফ্রে বয়কট ও ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েডের মতো প্রাক্তনরা। লয়েড ‘বিবিসি স্পোর্টস’-কে জানান, “নুসা এমন সৈকত যেখানে গিয়ে বিশ্রামের চেয়ে ধকলই বেশি হয়। পানশালা, ভিড়—সবই আছে। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ের আগে এখানে যাওয়ার মানেই বুঝতে পারছি না। ওদের দেখে মনে হচ্ছে খেলার কোনও আগ্রহই নেই।”
বয়কটের ক্ষোভ আরও তীব্র—“স্টোকস আর ওর দলকে দেখে অবাক লাগছে। কারও কথা শুনছে না। আমরা তো খারাপ পরামর্শ দিচ্ছি না। আমরাও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটকে ভালবাসি। দলের অবস্থা দেখে হতাশ।”
প্রাক্তনদের এই সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন স্টোকস। বয়কট ও বোথামদের ‘অতীত’ বলে উল্লেখ করায় চাপে পড়ে পরে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাঁকে।
এরই মাঝে চাউর হয়েছে কোচ-অধিনায়কের মধ্যেও মতানৈক্যের গুঞ্জন। ম্যাকালাম প্রথমে অতিরিক্ত প্রস্তুতিকেই হারের কারণ বলেন। অন্যদিকে স্টোকস সরাসরি দায় চাপান ক্রিকেটারদের ঘাড়ে—জানান, তাঁর দলে দুর্বল খেলোয়াড়ের জায়গা নেই। পরে অবশ্য ম্যাকালাম নিজের অবস্থান বদলে অধিনায়কের সুরেই কথা বলেন।
সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের সাজঘরে অস্থিরতা চরমে। সিরিজের মাঝপথে মাঠের বাইরের এই বিতর্কই এখন আরও চাপ বাড়াচ্ছে ইংরেজ শিবিরে।




