মুম্বই: ২০১২ সালের পর ২০২৪। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১২ বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। যেখানে কলকাতাকে (KKR) ২৬১ রান করেও হারতে হয়েছে। সেখানে শুক্রবারের ম্যাচে মাত্র ১৬৯ রান মানে হারের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো বলা যেতে পারে। কিন্তু এবার ঠিক উল্টোটাই হলো। টিম গেম যে কোনও রানেই ম্যাচ জেতাতে পারে সেটা আবারও একবার প্রমাণ করল নাইটরা।
টসে জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট করে দিয়েছিল মুম্বই (MI)। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে কলকাতার বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বই। তারপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকায় হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়। তবে সূর্যকুমার যাদব টিম ডেভিডের পার্টনারশিপ না ভাঙলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। তাই ঠিক কী কী কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্স মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল দেখে নেওয়া যাক-
১) কলকাতার প্রপার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। ঠিক সময়ে মণীশ পাণ্ডেকে নামিয়ে ইনিংস মেরামত করে কলকাতা। নাহলে মাত্র ৫৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল কেকেআরের। সেখান থেকে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৭০ রানের ইনিংস এবং মণীশ পাণ্ডের ৪২ রানের ইনিংসের সৌজন্য ১৬৯ রান স্কোরবোর্ড তুলতে পারে।
২) শুধুমাত্র টপ অর্ডার নয়, মিডল অর্ডার এবং লোয়ার মিডল অর্ডার দলের প্রয়োজনে বোর্ডে রান তুলে দিয়েছে।
৩) অল্পরানের পুঁজি থাকলে বিপক্ষের জন্য স্ট্র্যাটেজি প্রয়োজন। তার আগে দরকার দ্রুত উইকেট তোলা। সেই কাজটাই করল কলকাতার বোলিং ইউনিট। পাওয়ার প্লে-তে রোহিত, ইশান এবং নমনের উইকেট তুলে নেওয়া কাজে লাগল কলকাতার।
৪) অনবরত উইকেট তুলে বিপক্ষকে গেম থেকে বের করে দেওয়া। সেই কাজটাও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কলকাতার বোলাররা। সুনীল নারিন এবং বরুণ চক্রবর্তী কৃপন বোলিং, সঙ্গে ৪ উইকেট মুম্বইকে কোণঠাসা করে দিয়েছিল।
৫) সবশেষে মিচেল স্টার্কের কামব্যাক। বিধ্বংসী বোলিং করে ৪ উইকেট। এবং সূর্যকুমার যাদবকে ঠিক সময়ে আউট করে কলকাতাকে পুরোপুরি ম্যাচ কব্জা করার কাজটা করে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
View this post on Instagram