ওয়েব ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘গ্লেনারিজ’-এর পানশালা (Glenary’s Bar) বেনিয়মের অভিযোগে আগামী তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দিল আবগারি দফতর। যদিও খোলা রয়েছে রেস্তরাঁ। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক। রেস্তরাঁর মালিক এবং ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্টের আহ্বায়ক অজয় এডওয়ার্ড প্রশ্ন তুলেছেন, সেতু উদ্বোধনের মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কেন এই পদক্ষেপ? তাঁর অভিযোগ, এর নেপথ্যে রহস্য রয়েছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের ভূমিকাকেও তিনি আঙুল তুলেছেন।
তবে অজয়ের দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। জিটিএ মুখপাত্র এসপি শর্মা জানিয়েছেন, ১৪ নভেম্বরই আবগারি বিভাগ অজয়কে নোটিস পাঠিয়েছে, তাই হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত নয় বলে দাবি তাদের।
সম্প্রতি বিজনবাড়ি ব্লকের জোড়বাংলোয় টুংসুং চা-বাগানের কাছে টুংসুং খোলা নদীর ওপর নতুন একটি সেতু তৈরি হয়। রবিবার সেই সেতুর উদ্বোধন করেন অজয় এডওয়ার্ড। সেতুর সামনে লেখা ছিল ‘গোর্খাল্যান্ড’। অজয়ের দাবি, স্থানীয় মানুষজনের চাঁদায় সেতুটি তৈরি হয়েছে। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, সেতু তৈরির অর্থের বড় অংশ এসেছে ‘গ্লেনারিজ’-এর মালিক অজয়ের হাত থেকেই। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জিটিএ। আর সেই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পানশালা বন্ধের নোটিস— এমনটাই দাবি অজয়ের।
পানশালা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে গিয়েছেন অজয়। তাঁর আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। অজয়ের কথায়, “হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছি। যদি কোনও সুরাহা না মেলে, তবে গ্লেনারিজ়ের পুরো রেস্তরাঁই বন্ধ রাখতে হবে। পানশালা বন্ধ হওয়ার পর বিক্রি ৫০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে।”
জেলা পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অজয়। তাঁর দাবি, জেলা পুলিশ সুপার তাঁকে ‘সিঙ্গিং বার’ চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন।
অজয়ের অভিযোগ—“১৫০ বছর পুরোনো এই বিল্ডিংয়ে বহু দিন ধরে লাইভ ব্যান্ড পারফর্ম করে আসছে। বর্তমান পুলিশ সুপার লিখিত অনুমতি দিলেও পরে সেটা চালাতে দিলেন না। এটা সন্দেহজনক।”
অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ পাল্টা জানান, “এই পানশালার অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়া পুলিশের কাজ নয়। সম্পূর্ণটাই আবগারি দফতরের অধীন।”



