ওয়েব ডেস্ক: সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই মন্তব্য ঘিরেই সংসদের ভিতরে ও বাইরে তীব্র প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এবার একই ইস্যুতে নাম না করেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
কোচবিহারের রাশমেলার মাঠের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বললেন বঙ্কিমদা! যেন শ্যামদা, হরিদা। যিনি জাতীয় গান রচনা করেছিলেন, তাঁকে এইটুকু সম্মানও দিলেন না! আপনাদের তো মাথা নিচু করে জনগণের কাছে নাকখত দেওয়া উচিত— তাতেও ক্ষমা হবে না।”
এসআইআর আবহে মানুষের পাশে থাকতে ফের জেলাসফরে গিয়ে সোমবার কোচবিহারে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকের পর মঙ্গলবারের জনসভায় কেন্দ্রের BJP সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। দেশের সংস্কৃতি, আন্দোলন ও ইতিহাসকে “অসম্মান করা হচ্ছে” বলেও অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার মনীষীদের অপমান নিয়েও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। মমতার বক্তব্য, “রাজা রামমোহন রায়কে বলে দিলেন দেশপ্রেমী নন। ক্ষুদিরাম বসুকে সন্ত্রাসবাদী বলা হল। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙলেন। মানুষ এর জবাব দেবে।”
উল্লেখ্য, সোমবার লোকসভায় বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর উপলক্ষে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ‘বঙ্কিমদা’ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামী পুলিনবিহারী দাসের নাম উচ্চারণ করেন ‘পুলিন বিকাশ দাস’ হিসেবে এবং মাস্টারদা সূর্য সেনকে বলেন ‘মাস্টার সূর্য সেন’। তাঁর বক্তব্য চলাকালীনই তৃণমূল সাংসদরা প্রতিবাদ জানান।
এদিনও সংসদের বাইরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি হাতে মৌন প্রতিবাদে অংশ নেন তৃণমূল সাংসদরা।




