ওয়েব ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, ইউপিএসসি পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধা নিতে শংসাপত্র জাল করে একাধিক বার পরীক্ষায় বসেছিলেন বছর চৌত্রিশের পূজা খেড়কর (Puja Khedkar)। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে কারণ দেখাতে বলা হয়েছিল, তাতে আগামী ৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন পূজা। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে ইউপিএসসি ৩০ জুলাই, বুধবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল তাঁকে। জানানো হয়েছিল, পূজার কাছে এটিই শেষ সুযোগ। এর পর তাঁর কোনও উপরোধ-অনুরোধ আর শোনা হবে না।
বুধবারের বিবৃতিতে ইউপিএসসি জানিয়েছে, বাড়তি সময় দেওয়া সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন পূজা। তাই ২০২২-এর আইএএস নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁর নির্বাচন বাতিল করা হল এবং আজীবনের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হল। ভবিষ্যতে আর কখনওই এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না তিনি। ইউপিএসসি জানিয়েছে, পূজাকাণ্ডের পর ২০০৯ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে নিযুক্ত ১৫০০০-এরও বেশি আমলার যাবতীয় নথি আবার খতিয়ে দেখেছে তারা। তাতে এখনও পর্যন্ত পূজা ছাড়া অন্য কোনও আমলার বিরুদ্ধে এ রকম জালিয়াতির প্রমাণ মেলেনি।
অর্থাৎ, বিতর্কিত আইএএস পূজা খেড়করের নিয়োগ বাতিল করে দিল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)।