কলকাতা: ইডির প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal Recruitment Case) রাজসাক্ষী হতে চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সম্প্রতি এই মামলায় রাজসাক্ষী হতে চেয়ে ইডির বিশেষ আদালতে আবেদন করেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্ত করার আর্জি জানান কল্যাণময়। ওই সূত্রের দাবি, গোপন জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়েও সম্মতি জানান তিনি।
কীভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল কল্যাণময়ের?
নিয়োগ দুর্নীতির করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তদন্ত পিংলায় একটি অভিজাত স্কুলের খোঁজ পেয়েছিলেন। ওই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী’র নামে। পরে জানা যায়, ওই স্কুলের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ওই বেরসকারি স্কুলের সূত্র ধরে ইডির সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন পার্থর মেয়ে-জামাই। তাঁদের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পাওয়া যায়।
ইডির দাবি ছিল, মার্কিন মুলুকে বসেই পার্থর জামাই কল্যাণময় সংস্থা ও ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কীভাবে কালো টাকা সাদা হয়েছে, তাও তিনিই জানেন। সেই কারণে একাধিকবার তাঁকে তলবও করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েন তিনি। অর্থাৎ শ্বশুরমশাইয়ের পরামর্শ মেনে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন কল্যাণময়। হেনস্তা হতে হয় তাঁকে। বিদেশ ফেরার ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। আদালত সাফ জানায়, কোর্টের নির্দেশ ছাড়া কলকাতা ছাড়তে পারবেন না কল্যাণময়।
এককথায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে রাশি রাশি নগদ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই টাকা কী ভাবে কালো থেকে সাদা করা হত, তা তুলে ধরতে পার্থর জামাই কল্যাণময়ের বয়ানকেই আদালতে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।