কলকাতা: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গত শুক্রবার এক প্রসূতির মৃত্যুর পরেই তাঁকে দেওয়া রিঙ্গার্স ল্যাকটেট (আরএল) স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই স্বাস্থ্য দফতর কড়া নির্দেশিকা জারি করে। তার পরই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ঠিক কী ঘটেছিল, কার গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যু হল, আদৌ আরএল স্যালাইনের ব্যবহারই এর জন্য দায়ী কি না ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর।
তারা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বেশ কিছু ওযুধ এবং স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করে। কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। পাশাপাশি, মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী এবং স্ত্রীরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে এসএসকেএম হাসপাতালে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে তদন্ত কমিটি।
স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে সোমবার মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘আমরা কোনও রকম গাফিলতি বরদাস্ত করব না। পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তের কথা বলেছি। সেই তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ।’’ তিনি জানান, বিস্তারিত রিপোর্টে যাঁরাই দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ছাড় পাবেন না কেউই। শুধু তা-ই নয়, স্বাস্থ্য দফতরের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি স্যালাইন-কাণ্ড নিয়ে তদন্ত করবে সিআইডিও।