লাইফস্টাইল ডেস্ক: ব্রণর (Acne) সমস্যা একটা মারাত্মক সমস্যা। বিশেষ করে যুবক ও যুবতীদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, বাইরের তেল ও মশলাদার খাবারের প্রতি বেশি ঝোঁক, জল কম খাওয়া এবং সর্বোপরি ত্বকের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, এইসব কারণে ত্বকে ব্রণ হয়। বিশেষ করে ত্বক তৈলাক্ত হলে ব্রণর পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ব্রণ ত্বকের কয়েকটি অংশে বেশি দেখা যায়। তবে কী করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন তা জেনে রাখতে হবে। কপাল এবং গালেই এই সমসসা বেশি দেখা যায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মুখের কোথাও ব্রণ নেই। ডান অথবা বাঁ দিকের গালে ব্রণ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তবে ত্বক চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়সের কারণে ব্রণ হলে সমস্যার কিছু নেই। তবে এই ব্রণ কিন্তু অন্য অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।
ব্রণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?
ব্রণ থেকে বাঁচতে সবার আগে সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। পরিষ্কার না রাখলে মুখে ব্রণর প্রবণতা বাড়ে। তাই নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ও স্নান করার সময় মুখে ফেস ওয়াশ করতে হবে। ছত্রাক সংক্রমণ দূর করতে মুখ উষ্ণ জল দিয়ে ধুতে হবে। এ ছাড়া মুখে স্টিম দিতে পারেন। স্টিম দিলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
ব্রণ দূর করতে খাওয়া দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। বাইরের ফাস্টফুড খেলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তবে বাড়ির খাবার খেলেও হতে পারে ব্রণ। পেট পরিষ্কার না থাকলে ব্রণ-র প্রবণতা বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে পেটের দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। এবং প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার জল অবসসই খেতে হবে। গোলাপ জল ও অ্যালোভেরায় থাকা উপাদান ব্রণর সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। এই উপাদান রোজ ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কিছুটা হলেও মেটানো সম্ভব হয়।
মুখের কোন অংশে ব্রণ হয়েছে তা বলে দিতে পারে শরীরের কোন অংশে রোগ বাসা বেঁধেছে কি না। তৈলাক্ত ত্বক হলে, কম বয়সে গালে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। তবে ব্যাক্টেরিয়া ও ধূমপানের কারণে ফুসফুসে সমস্যা হলে তা থেকেও ব্রণ হয়। ঘন ঘন কফি খেলে কপাল ব্রণয় ভরে উঠতে পারে। অবশ্য শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো না হলে কপালে ব্রণ হয়। চিনি দেওয়া চা, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে অনেক সময় থুতনিতে ব্রণ হয়। তা ছাড়া হরমোনের ভারসাম্যে ক্ষতির ইঙ্গিত দেয় থুতনিতে ব্রণ।