ওয়েব ডেস্ক: গত মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস (Jaffar Express)। দুপুর নাগাদ প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের হাইজ্যাক করে বালোচ বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে পণবন্দিদের খুন করা হবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই পণবন্দিদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে এএফপি সূত্রের খবর।
সেই সঙ্গে খতম হয়েছে ট্রেনের দখল নেওয়া ৩৩ জন বিদ্রোহীও। এছাড়া ২৮ জন পাকিস্তানি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে। তার মধ্যে ২৭ জনকে বেছে বেছে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে উদ্ধারকাজ চলাকালীন।
আর উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর, পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে বসে এই ট্রেন হাইজ্যাকের ছক কষা হয়েছিল। অপারেশনের সময়েও আফগানিস্তানে থাকা সঙ্গীদের যোগাযোগ রেখেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। ভারতের নাম না করলেও পাক মুখপাত্রের দাবি, বিদেশি মদত রয়েছে বালোচদের সঙ্গে।
এই মন্তব্যের পালটা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন অভিযোগ খারিজ করছি।” তার পরেই পাকিস্তানের নাম না-করে তাঁর খোঁচা, “গোটা বিশ্ব জানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর কোথায় রয়েছে।” এখানেই থামেননি বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। পড়শি দেশকে নিশানা করে তিনি বলেন, “অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে পাকিস্তান নিজেদের দিকে তাকাক। অন্যদের ব্যর্থতা না-খুঁজে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার প্রতি নজর দিক।”