ওয়েব ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নিবিড় সংশোধিত ভোটার তালিকা ঘিরে এবার তৈরি হল নতুন বিতর্ক। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে জানানো হয়েছিল, ভোটার তালিকা (Bihar Voter List) থেকে প্রায় ৫২ লক্ষ ‘মৃত, স্থানান্তরিত ও অযোগ্য’-দের নাম বাদ পড়তে পারে। তবে কমিশনের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রায় ৫৬ লক্ষ মানুষ।
কমিশনের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই ৫৬ লক্ষের মধ্যে ২০ লক্ষ ভোটার মারা গিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আর ২৮ লক্ষ ভোটার অন্যত্র চলে গিয়েছে। আর ৭ লক্ষ ভোটারের (Voters) নাম একাধিক ঠিকানায় তালিকাভুক্ত। ফলে তাঁদের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে বলে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, বিহারের ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (Special Intensive Revision – SIR) চলাকালীন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে বাদ পড়তে পারে ২৩ হাজার ভোটার। তবে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একাধিক মামলা হয়েছে ইতিমধ্যে। প্রশ্ন উঠছে, বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করতে পারে কমিশন? তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তারা ভোটার তালিকা সংশোধনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অন্যদিকে শীর্ষ আদালত নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য আধার, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড বিবেচনা করার নির্দেশ দেয় তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে সেগুলি বিবেচনা করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে দাবি করা হয়েছে, আধার কার্ড শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র—এটি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এমনকি ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়ায় নতুনভাবে নাম তোলার ক্ষেত্রেও ভোটার আইডিকে চূড়ান্ত পরিচয়পত্র হিসেবে মানা যায় না। পাশপাসি কমিশন আরও জানিয়েছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আগে প্রাথমিক পর্যায়ে নাগরিকত্ব যাচাই করার অধিকার রাখে।