ওয়েব ডেস্ক: সাধারণ মানুষের পকেটের চাপ কমাতে ৩৫টি অত্যাবশ্যকীয় (35 Essential Medicine Price cuts) ওষুধের খুচরো মূল্য কমালো কেন্দ্র। জাতীয় ওষুধ মূল্য নির্ধারণ কর্তৃপক্ষ বা NPPA ৩৫টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমিয়ে বিরাট স্বস্তি দিল সাধারণের মনে। এই ওষুধগুলি বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এবার সেইসব ওষুধই কম দামে কিনতে পারবেন মানুষ। ওষুধের তালিকায় রয়েছে অতি পরিচিত অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, কার্ডিওভাসকুলার ও সাইকিয়াট্রিক ওষুধ। এই দাম কমানোর ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত রোগীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
মূল্য নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকায় রয়েছে অ্যাসিক্লোফেনাক, প্যারাসিটামল, ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন-এর ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন, অ্যামক্সিসিলিন ও পটাশিয়াম ক্ল্যাভুলানেট, অ্যাটরভাস্ট্যাটিন কম্বিনেশন, এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যেমন এমপাগ্লিফ্লোজিন, সিটাগ্লিপ্টিন ও মেটফরমিন-এর সংমিশ্রণ।
অ্যাকুমস ড্রাগস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ড: রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজ-এর একটি অ্যাসিক্লোফেনাক-প্যারাসিটামল-ট্রিপসিন কাইমোট্রিপসিন ট্যাবলেটের দাম নির্ধারিত হয়েছে প্রতি ট্যাবলেট পিছু ১৩ টাকা। ক্যাডিলা ফার্মাসিউটিক্যালসের এই একই ফর্মুলেশনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৫.০১ টাকা।
একইভাবে, হৃদ্রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া অ্যাটরভাস্ট্যাটিন ৪০ মিলিগ্রাম ও ক্লোপিডোগ্রেল ৭৫ মিলিগ্রাম যুক্ত একটি ট্যাবলেটের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৫.৬১ টাকা। শিশুদের জন্য সেফিক্সিম ও প্যারাসিটামলের ওরাল সাসপেনশনের দামও কমেছে। ডিক্লোফেনাক ইঞ্জেকশনের দাম হয়েছে ৩১ টাকা ৭৭ পয়সা। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, খুচরো বিক্রেতা ও ডিলারদের দোকানে নতুন দামের তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। নির্দেশিকা অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।