ছুটির দিনে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর অনেকেই ঘুমাতে পছন্দ করেন। আবার সন্ধ্যার সময় তেলেভাজা তেলেভাজা করে। যদিও এই গরমে অনেকেই তা পছন্দ করেন না। তবে তেলেভাজা খাওয়ার পরে একটু চা হলেও ভালো হয়। আর তারপরেই শুরু হয় বুকে ভিতরে জ্বালা সঙ্গে মুখের ভিতরে টক টক ভাব। মাথায় দপদপ করে যন্ত্রণা ও বুকে ব্যথাও হতে পারে। এমনকি কাশিও হতে পারে। এই লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার অ্যাসিডিটি মানে অম্বল হয়েছে। আর তারপরেই ঝটপট অম্বলের ওষুধ খেয়ে ফেলেন অনেকে। এই ভুল একদম করবেন না। এই সমস্যা দূর করতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। বলা ভালো ঘরোয়া নিয়ম।
এক গ্লাস জলে ১ বা ২ চা চামচ তুলসীর বীজ ভিজিয়ে রাখুন। এগুলি ফুলে উঠলে খেয়ে নিন। তবে মনে রাখুন এই বীজগুলি ঠান্ডা প্রকৃতির হয়। পিরিয়ডস বা সর্দি ও কাশি থাকলে এটি পান করবেন না। অম্বল দূর করতে ডাবের জল খুব উপকারী ওষুধ। দিনে একবার ডাবের জল খেলে ভালো হয়।
বাটারমিল্ক বা দইয়ের ঘোলে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। পেটের অ্যাসিডিটিকে শান্ত করতে সক্ষম বাটারমিল্ক বা দইয়ের ঘোল। খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস বাটার মিল্ক পান করুন। খাবার খাওয়ার পর মৌরী খেলে অম্বলের প্রবণতা কমাতে পারে। মৌরী দেওয়া চা-ও খেতে পারেন। এর ফলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং বদহজমের সম্ভাবনা কমে।
ছোট এলাচ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে পেটের যে খারাপ অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, তা দূর করতেও সাহায্য করে। গুড়ে উপস্থিত ম্যাগনেশিয়াম অন্ত্র মজবুত করে এবং হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। তাই খাবার খাওয়ার পর গুড় খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ক্যান্টালোপ, হানিডিউ এবং তরমুজ অ্যাসিড রিফ্লাক্স সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়ামও থাকে, যা পেটে অ্যাসিড ক্ষরণ কম করে ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে। তবে খুব বেশি অ্যাসিডিটি বা অম্বল হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ অবশ্যই খান।