কলকাতা: মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার — একজনও নেই, এমন বুথের সংখ্যা রাজ্যে কমতে কমতে এসে দাঁড়াল মাত্র সাত-এ। প্রথম পর্যায়ের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের ২২০৮টি বুথে গত এক বছরে কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্যত্র স্থানান্তরিতও হননি। এই তথ্য এসেছিল জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) দফতর থেকে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করার পরই সংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়।
বুধবার জানা যায়, ২২০৮-এর জায়গায় এই ধরনের বুথ রয়েছে ৪৮০টি। এরপর বৃহস্পতিবার নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কমিশন জানায়—রাজ্যে এখন মাত্র সাতটি বুথ রয়েছে যেখানে গত এক বছরে কোনও মৃত, নিখোঁজ বা স্থানান্তরিত ভোটারের হিসাব পাওয়া যায়নি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই সাতটি বুথের অবস্থান—
জলপাইগুড়ি: ১
মালদহ: ২
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১
হাওড়া: ১
পশ্চিম মেদিনীপুর: ১
পুরুলিয়া: ১
এই বুথগুলিতে বিলি করা এনুমারেশন ফর্ম ১০০ শতাংশ জমা পড়েছে। কারও মৃত্যু, স্থানান্তর, নিখোঁজ হওয়া—কোনও ব্যতিক্রম নেই। কারও নামও দু’টি জায়গায় পাওয়া যায়নি।
প্রথম রিপোর্টে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছিল শীর্ষে—৭৬০টি বুথে মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। কমিশনের নির্দেশে ডিইও-দের কাছ থেকে নতুন রিপোর্ট চাওয়া হলে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় মাত্র এক-এ।
গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) অংশ হিসাবে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে। ফর্ম সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) ইতিমধ্যেই ফর্মের তথ্য কমিশনের পোর্টালে আপলোডের কাজ করছেন। কমিশন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে—ফর্ম আপলোডের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।




