ওয়েব ডেস্ক: ‘বহুরূপী’ (Bohurupi), যার কাহিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়পুরে পর পর ঘটে যাওয়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা।
এবার জেনে নেওয়া যাক কেমন হল ‘বহুরূপী’?
১) ‘বহুরূপী’ আসলে পুলিশ এবং অপরাধীর খেলা। তার সঙ্গে রয়েছে মানবিক কিছু সম্পর্ক, পারিবারিক টানাপড়েন, অথৈ প্রেম, সাহসিকতা, রোমাঞ্চ, রক্ত গরম করা সংলাপ, এবং ভীষণ রকমের বাঙালি ‘সেন্টিমেন্ট’। পারিবারিক ছবি নিঃসন্দেহে।
২) কিছু দুর্ধর্ষ প্রেমের গান আছে। ‘তুই আমার হয়ে যা’ গানটিকে ছবির দুরন্ত গতির মধ্যে যেন এক ঝলক তাজা হওয়ার মতো লাগে। এছাড়াও শিলাজিতের একটি গান আছে। এছাড়া ‘শিমূল-পলাশ’ বা ‘ডাকাতিয়া বাঁশি’র মতো গান আছে।
৩) এই ছবিতে ঋতাভরী এবং কৌশানীর অভিনয় অনেরদদিন দর্শকের মনে জায়গা করে থাকবে এটা বলা যেতেই পারে।
৪) অভিনয়ের দিক থেকে আবীরের চেয়ে শিবপ্রসাদ খানিক এগিয়ে থাকবেন। শিবপ্রসাদের উচ্চারণে রাঢ়বাংলার টান প্রায় নিখুঁত শুনিয়েছে। অবীরকে পেশাদার অভিনেতা লেগেছে।
৫) প্রশংসনীয় শিল্প নির্দেশক আনন্দ আঢ্যের কাজ।
৬) এ ছাড়াও এই ছবিতে বেশ কিছু গাড়ি এবং দৌড়ে ধাওয়া করার দৃশ্য আছে, যেগুলি রুদ্ধশ্বাস।
সব মিলিয়ে ‘বহুরূপী’ আসলে সমাজে একেবারে হেরে যাওয়া মানুষের কিছুতেই হার না মানার কাহিনি। পুজোতে অবশ্যই সিনেমা দেখার তালিকায় ‘বহুরূপী’ রাখলে ঠকবেন না।