স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের নির্বাচনে নজর ছিল মূলত দুই ক্রিকেটার—শুভমন গিল (Shubhman Gill) এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার (Hardik Pandya) উপর। চোট সেরে তাঁরা দলে ফিরতে পারবেন কি না, সেই জল্পনার অবসান হলো বুধবার। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, হার্দিক পাণ্ডিয়া স্কোয়াডে ফিরেছেন। শুভমন গিলকেও দলে রাখা হয়েছে, তবে তাঁর মাঠে নামা এখনও অনিশ্চিত। তবু জায়গা হয়নি রিঙ্কু সিংহের।
রায়পুরে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচের দিনেই টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করল ভারত। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে দল নির্বাচন করেছেন অজিত আগরকর, গৌতম গম্ভীররা।
ঘোষিত দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে নাম রয়েছে শুভমন গিলের। তবে তাঁকে রাখা হয়েছে শর্তসাপেক্ষে। BCCI-র ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষেই খেলতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ, দলের চিকিৎসকরা চূড়ান্ত অনুমতি দিলে তবেই মাঠে দেখা যেতে পারে শুভমনকে। স্কোয়াডে রয়েছেন সঞ্জু স্যামসনও। যদি শুভমন খেলতে না পারেন তবে অভিষেক শর্মার সঙ্গে সঞ্জুই ওপেন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এশিয়া কাপে ভারতের দল থেকে মাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন—রিঙ্কু সিংহের বাদ পড়া। এশিয়া কাপে তিনি একমাত্র ম্যাচ খেলেছিলেন, সেটিও ছিল ফাইনাল। আগরকর আগেই জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ব্যাটার হিসেবেই রিঙ্কুকে নেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নির্বাচকেরা সেই নীতি বদলেছেন। ফলে রিঙ্কুকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে ইঙ্গিত মিলছে, আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রিঙ্কুর সুযোগ পাওয়া কঠিন।
এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। কিন্তু সুস্থ হয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলেছেন। ফলে জাতীয় দলে তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে সন্দেহ ছিল না। অনুমান করা হচ্ছে, হার্দিক ফিরতেই স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষায় অলরাউন্ডারের সংখ্যা বাড়াতে চেয়েছেন গম্ভীর–আগরকররা, আর সেই কারণেই দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন রিঙ্কু সিংহ।
একনজরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টি২০ স্কোয়াড
সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিল (চিকিৎসকদের ছাড়পত্র প্রয়োজন), অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর পাটেল, জিতেশ শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, জসপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, অর্শদীপ সিংহ, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, ওয়াশিংটন সুন্দর।




