নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার (Indian cricket legend) বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virender Sehwag)। বীরেন্দ্র সেহবাগ এবং তার স্ত্রী আরতি আহলাওয়াতের (Aarti Ahlawat) বিবাহবিচ্ছেদ (Divorce) হতে চলেছে বলে খবর।
২০০৪ সালে আরতিকে বিয়ে করেছিলেন সেহবাগ। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকমাস ধরেই তাঁরা আলাদা থাকছেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি সেহবাগের তরফ থেকে।
সম্প্রতি ভক্তরা লক্ষ্য করেছেন যে বীরেন্দ্র এবং আরতি ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করেছেন, যার ফলে তাদের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দীপাবলি উৎসবের সময়, বীরেন্দ্র তার ছেলে আর্যবীর এবং বেদান্ত এবং তার মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন কিন্তু আরতির কথা উল্লেখ করেননি।
এর ফলে এই জুটি আর একসঙ্গে নেই বলে গুজব আরও তীব্র হয়ে ওঠে। দুই সপ্তাহ আগে, বীরেন্দ্র কেরলের বিশ্ব নাগয়াক্ষী মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে ভ্রমণের ছবি শেয়ার করেছেন কিন্তু আরতির কোনও উল্লেখ সেখানে নেই। ফলে জল্পনা ক্রমশ তীব্র হয়।
১৯৮০ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে (Delhi) জন্ম হয় আরতি আহলাওয়াতের। তবে তিনি নিজেকে সর্বদাই মিডিয়ার থেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করতেন। লেডি আরউইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং পরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৈত্রেয়ী কলেজ থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আরতি।
২০০২ সালে বীরেন্দ্র সেহবাগের প্রেম কাহিনি শুরু হয়। নিজের ভালোবাসাকে কাছে পেতে অনেক লড়াই করেছিলেন সেহবাগ। অনেক কষ্টে পরিবারের সকলকে রাজি করিয়েই ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি প্লেয়ার বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virender Sehwag) এবং আরতি আহলাওয়াতকে বিয়ে করেন। কারণ আরতি সম্পর্কে তার আত্মীয়ার বোন ছিলেন। আরতি আহলাওয়াতের পিসির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সেহবাগের এক আত্মীয় দাদার। যার ফলে সম্পর্কের দিক থেকে দেখতে গেলে, তাঁরা ছিলেন ভাই বোন। কিন্তু ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নিজের বিয়ের বিষয়ে সেহবাগ জানিয়েছিলেন ‘আমাদের পরিবারে আত্মীয় ভাই বোনের বিয়েটা কেউই সেভাবে মেনে নিতে পারেনি। প্রথমটায় আমার বাবা মাও মেনে নিতে চাননি। তাঁদের অনেক করে বোঝানোর পর অবশেষে তাঁরা রাজি হন। কারণ এই বিয়েতে সম্মতি দেওয়া তাঁদের পক্ষে খুব কঠিন কাজ ছিল’। সেইসময় নিজের বিয়ে প্রসঙ্গে আরতি বলেছিলেন, ‘শুধুমাত্র সেহবাগের পরিবারই নয়, আমাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল আমার পরিবারের লোকেরাও। তবে দুই পরিবারের মানুষজনদের রাজি করিয়ে ২০০৪ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এখন আমাদের দুই ছেলেও রয়েছে আর্যবীর ও বেদান্ত’।
২০০২ সালে সেহবাগ, আরতিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ গভীর চিন্তাভাবনার পরেই আরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন। সেহবাগ এবং আরতীয় বিয়ে হয়েছিল প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সরকারি বাংলোতে।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন বীরেন্দ্র। বর্তমানে জাতীয় অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির অ্যান্টি-ডোপিং আপিল প্যানেলে দায়িত্ব আছেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবন তিনি সময় ব্যক্তিগত রাখতেই ভালোবাসেন।