ওয়েব ডেস্ক: সমুদ্রের উপর থেকে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) ঘুরতে ঘুরতে যখন স্থলভাগের দিকে এগোয়, তখন তার কেন্দ্রে একটি আপাত শান্ত অঞ্চল তৈরি হয়। সেখানে হাওয়ার বেগ তুলনামূলক কম থাকে। ‘ল্যান্ডফলের’ সময় ঝড়ের ওই কেন্দ্র যখন স্থলভাগে প্রবেশ করে, তখন ঘূর্ণিঝড়ের দাপট হয় সবচেয়ে বেশি। আবহবিদদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই ‘চোখ’ তৈরি হয় না ঘূর্ণিঝড়ের। এটি তার অবস্থান, গতিপথের উপর নির্ভর করে। ‘দানা’র ক্ষেত্রেও ‘চোখ’ থাকছে না।
অন্যদিকে, স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে ঘুর্ণঝড় ‘দানা’। ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। রাত সাড়ে ১১টার বুলেটিন অনুযায়ী, পারাদীপ থেকে আর মাত্র ৫০ কিমি দূরে রয়েছে ‘দানা’। ওড়িশার ধামারা থেকে ৪০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ১৭০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ওড়িশার উপকূলে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ছ’ঘন্টায় ঘূর্ণিঝড় ১৫ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগের দিকে এগিয়েছে।