কলকাতা: স্থায়ী পদে পুনর্বহালের দাবিতে এসএসসি (SSC) ভবনের সামনে অবস্থান (Protest) চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। সোমবার থেকে তাঁরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন এবং স্পষ্ট জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁদের মূল দাবি—যথাশীঘ্র যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হোক। তবে আন্দোলনের প্রথম দিনেই এসএসসি তালিকা প্রকাশ না করায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এর মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) আশ্বাস দিয়েছেন, রাজ্য সরকার ও বিদ্যালয় শিক্ষাদফতর তাঁদের পাশে রয়েছে।
কিন্তু যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা কবে প্রকাশ হবে? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তালিকা প্রকাশে বিলম্বের কারণ হল আইনি পরামর্শ না পাওয়া। তিনি আরও বলেন, কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি, কাজে যোগ দিতে কারও সমস্যা হয়নি এবং কারও বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ব্রাত্য বসুর দাবি, “আমাদের কাছে ভাগ রয়েছে। সেই অনুসারে আমরা কাজ করছি। এমন কোনও কাজ করবেন না বা এমন কিছু করতে বাধ্য করবেন না, যাতে রিভিউ পিটিশন আপনাদের বিপক্ষে চলে যায়।”
কিন্তু তালিকা প্রকাশ না হলে কারা বেতন পাবেন, কারা স্কুলে যাবেন তা নির্ধারণ হবে কী ভাবে? প্রশ্নের জবাবে ব্রাত্য বলেন, ‘‘১৭ তারিখ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য আপনারা বলছেন আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি। কিন্তু আপনারা যদি ১৭ তারিখের কেসটি দেখেন, যেখানে আমরা ক্ল্যারিফিকেশন চাই, সেখানে খুব পরিষ্কার করে ১৭,২০৬ জন— তাঁরা যোগ্য। এটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে।’’
তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেন, “আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে সুপ্রিম কোর্টে চলা রিভিউ পিটিশনে আপনাদের অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।” তবে অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “এই তালিকা সুপ্রিম কোর্টই প্রকাশ করেছে। আমরা কিছু তৈরি করিনি। তালিকাটি জনসমক্ষে রয়েছে।”
এদিকে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, তৃতীয় দফার পরবর্তী কাউন্সেলিং নিয়ে কমিশনের তরফে কোনও বক্তব্য আসেনি। তবে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, এমন কিছু নিয়ে সরকার বা এসএসসি কোনও মন্তব্য করেনি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও তেমন কিছু নেই। তিনি বলেন, “যা বলা হয়নি, তা ধরে নিয়ে অভিযোগ করা অর্থহীন।”