ওয়েব ডেস্ক: ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রেসিডেন্টের অন্যতম আস্থাভাজন হিসেবে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলন, কিন্তু কয়েকমাস কাটতেই হোয়াইট হাউস (White House) থেকে পদত্যাগ (Resign) করলেন এই মার্কিন ধনকুবের। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, তাঁর ‘নির্ধারিত সময়সীমা’ শেষ হয়েছে এবং সেই কারণেই প্রশাসন (US Government) থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে মাস্কের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর মাস্ককে তাঁর পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করেন। পাশাপাশি মাস্কের জন্য গঠিত হয় একটি বিশেষ দফতর, যার নাম দেওয়া হয় সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর বা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা DOGE। এই দফতরের মূল কাজ ছিল অপ্রয়োজনীয় প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে দেশের রাজকোষে সাশ্রয় করা।
সম্প্রতি ট্রাম্প এক জনকল্যাণমূলক সংস্কার বিল সই করেন, যার ফলে প্রশাসনের ব্যয় আরও কমবে বলে দাবি করেন হোয়াইট হাউস কর্তারা। ট্রাম্প নিজে বিলটিকে ‘সুন্দর’ বলেও আখ্যা দেন। কিন্তু এই বিলের বিরোধিতায় মুখ খোলেন মাস্ক। তাঁর দাবি, বিলটি কার্যকর হলে DOGE-র কাজ ব্যাহত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এতে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। ট্রাম্পের সঙ্গে এই প্রকাশ্য মতানৈক্যই মাস্কের বিদায়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
As my scheduled time as a Special Government Employee comes to an end, I would like to thank President @realDonaldTrump for the opportunity to reduce wasteful spending.
The @DOGE mission will only strengthen over time as it becomes a way of life throughout the government.
— Elon Musk (@elonmusk) May 29, 2025