স্পোর্টস ডেস্ক: সাল ২০১৬, ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে পেনাল্টি ফস্কে কেঁদেছিলেন তিনি। তবে সে বার হারতে হয়েছিল টিমকে। ১৫ জুলাই, ২০২৪ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। অঝোরে কাঁদছিলেন মেসি। না, এ বার হাসি মুখে, জয়ের আনন্দ মেখে মাঠ ছাড়লেন এলএমটেন (Lionel Messi)। হ্যাঁ, পরপর দু’বার কোপা আমেরিকা (Copa America 2024) জিতল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। লাউতারো মার্টিনেজ জেতালেন মেসির আর্জেন্টিনাকে। চলতি কোপায় যখনই নেমেছেন, গোল করেছেন মার্তিনেস। আরও এক বার সেই কাজটা করলেন তিনি।
প্রথম ২০ মিনিট সে ভাবে দেখা যায়নি মেসিকে। ২০ মিনিটের মাথায় প্রথম বার দলগত আক্রমণ তুলে আনে আর্জেন্টিনা। বক্সে ঢুকে শট মারেন মেসি। যদিও ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের যৌথ প্রচেষ্টায় তা আটকে যায়। ৩০ মিনিটের পরে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার গোলের নীচে থাকা এমিলিয়ানো মার্তিনেস সেভ করেন। তবে মেসিকে দেখে মনে হচ্ছিল, ১০০ শতাংশ সুস্থ নন তিনি। তার মাঝেই ৩৬ মিনিটের মাথায় শট মারতে গিয়ে চোট পান মেসি। বেশ কিছু ক্ষণ পড়ে থাকেন তিনি। পরে আবার মাঠে নামলেও একটু খোঁড়াচ্ছিলেন মেসি। কিছুটা গা বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করছিলেন। কলম্বিয়ার ফুটবলারেরা মাঝেমাঝে ফাউল করছিলেন।
কিন্তু ৬৪ মিনিটের মাথায় বড় ধাক্কা খায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধের চোট সামলে দ্বিতীয়ার্ধে নামলেও ভাল দেখাচ্ছিল না মেসিকে। একটি স্প্রিন্ট টানতে গিয়ে নিজেই পড়ে যান তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে। কোনও ভাবেই আর খেলা চালাতে পারেননি তিনি। মাঠ ছাড়েন মেসি। বেঞ্চে বসে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। প্রথমে এক পায়ের জুতো ছুড়ে ফেলেন। হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন মেসি। বোঝা যাচ্ছিল, ফাইনালে খেলতে না পারার যন্ত্রণা তাঁর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছিল। তবে ১১২ মিনিটের মাথায় লো সেলসোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে গোল করেন মার্টিনেজ। ব্যাস, কোপা আমেরিকা দখল করল আর্জেন্টিনা। মেসির চোখে-মুখে তখন শিশুর মতো উচ্ছ্বাস।